হলদে রঙ্গের নরম বিছানা হোসেনপুরের প্রান্তরে।

হলদে রঙ্গের নরম বিছানা হোসেনপুরের প্রান্তরে।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চরাঞ্চলে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। দৃষ্টি নন্দন হলুদের বাহারী সাজ সজ্জা দিগন্তজোড়া।  ফলনও হয়েছে বাম্পার। চরাঞ্চলে শুধুই হলুদের সমারোহ। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন হলুদের শাড়ী পড়ানো প্রকৃতির গায়। । এ দিকে সরিষা ফুলের কদর বেড়ে যাওয়ায় ফুল বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করে লাভবান হচ্ছে অনেক কৃষক।সরিষা ফুলের বুকে মৌমাছিদের গুঞ্জনে যেন মনমোহিনী সংগীতায়োজন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এক হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলেও আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। সরিষা ফুল বিক্রি করে অনেকেই লাভবান হওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। সরিষার ফুল দিয়ে গৃহিণীরা মজাদার পিঠা ও বড়া তৈরি করে মেহমানদারিতে বৈচিত্র্য এনে থাকে।শীতল সন্ধায় গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে কিংবা হাট বাজারে মুখরুচির আয়োজন হিসেবে  বসে সুস্বাদু সরিষা ফুলের বড়া বিক্রির ক্ষুদে দোকান।
উপজেলার  চরকাটিহারী গ্রামের আব্দুল বাতেন, সাহেবের চর গ্রামের আব্দুল কাদের, মহসিন আহমেদ হক মিয়া,আসন আলীসহ অনেকেই জানায়, সরিষা চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম কিন্তু লাভের পরিমাণ বেশি। বিশ্বনাথপুরের  জাকির জানান,এবার অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষার আবাদ করে শুধু ফুল বিক্রি করে অনেক বেশি লাভবান হয়েছে অনেক কৃষক। এ সময় উপজেলার চর জামাইল গ্রামের কৃষক সাইফুল, নবী হোসেনসহ অনেকেই জানান, তারা এ বছর ১১ হাজার টাকার খরচ করে দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছে। এ পর্যন্ত সরিষার ফুল বিক্রি করে পেয়েছে ৪০ হাজার টাকার বেশি।
এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের তদারকি ও পরামর্শের কারণে কৃষকরা কম খরচে সরিষা আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সেই সাথে সরিষার ফুল বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া পরিপক্ব সরিষা উৎপাদন করে আরো বেশি লাভবান হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন